ডাবল ক্লিনজিং হলো আপনার স্কিনকে সুপার-ক্লিন করার জন্য একটা অ্যাডভান্সড পদ্ধতি, যেখানে মুখ দু'বার পরিষ্কার করা হয়।
১. ডাবল ক্লিনজিং আসলে কী?
এটিকে আপনার স্কিনের জন্য একটা স্মার্ট 'ডাবল ক্লিয়ার' প্রসেস ভাবতে পারেন।
● স্টেপ ১
(ক্লিনজিং অয়েল/ ক্লিনজিং বাম/ মাইসেলার): প্রথমে ক্লেনজিং অয়েল, বাম বা মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করা হয়। এটা স্কিনে থাকা মেকআপ, সানস্ক্রিন এবং জমে থাকা তেলভিত্তিক ময়লাকে সহজেই গলিয়ে বের করে আনে।
● স্টেপ ২
(ওয়াটার বেইজড ক্লিনজার): এরপর একটা ওয়াটার বেইজড ক্লিনজার যেমন জেল বা ফোম টাইপ ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়, যা স্টেপ ১-এর এক্সট্রা রেসিডিও বা ময়লা ধুয়ে ফেলে।
২. কেন আপনার ডাবল ক্লিনজিং করা জরুরি?
ডাবল ক্লিনজিং আপনার স্কিন হেলথের জন্য খুবই জরুরি, কারণঃ
● মেকআপ এবং সানস্ক্রিন রিমুভালঃ
সানস্ক্রিন এবং ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ সাধারণ ফেস ওয়াশে পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না; ডাবল ক্লিনজিং তা নিশ্চিত করে।
● পোরসকে ফ্রি রাখাঃ
এটা পোরসের গভীরে জমে থাকা অতিরিক্ত সিবাম, ধুলো এবং মৃতকোষ বের করে আনে, যা ব্রেকআউটস এবং অ্যাকনে প্রতিরোধে সাহায্য করে।
● ট্রিটমেন্টের বেনিফিটঃ
স্কিন সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকলে টোনার, সিরামের মতো ট্রিটমেন্ট প্রোডাক্টগুলো আরও ভালোভাবে শোষণ হয় এবং তাদের কার্যকারিতা বাড়ে।
৩. কোন স্কিন টাইপে কোন ডাবল ক্লিনজিং করবেন?
● অ্যাকনে-প্রণ, অয়েলি স্কিনঃ
আপনার উচিত হবে মাইসেলার ওয়াটার (নন-কমেডোজেনিক) দিয়ে শুরু করা। এরপর স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (বিএইচএ) বা নিয়াসিনামাইডযুক্ত জেল বা ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো।
● অতিরিক্ত ড্রাই এবং সেনসিটিভ স্কিনঃ
আপনার জন্য ক্রিম-বেসড বা হাইড্রেটিং ক্লেনজিং অয়েল বা হাইড্রেটিং মাইসেলার ওয়াটার ভালো কাজ করবে। দ্বিতীয় ধাপে নন-ফোমিং, মিল্কি বা সুদিং উপাদানযুক্ত ক্রিম ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত।
● ব্রন না থাকলে অল স্কিন টাইপেঃ
ক্লেনজিং বাম বা একটা লাইটওয়েট ক্লেনজিং অয়েল অল স্কিন টাইপের জন্যই ভালো কাজ করে। এটি সানস্ক্রিন এবং মেকআপকে কোনো অবশিষ্টাংশ না রেখেই দ্রুত গলিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ধাপে স্কিন টাইপ অনুযায়ী জেল, ফোমিং বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার ইউজ করবেন।
৪. কখন ডাবল ক্লিনজিং প্রয়োজন, কখন স্কিপ করা যাবে?
● প্রয়োজন (মাস্ট-ডু:)
● প্রতি রাতেঃ
যখন আপনি দিনের শেষে মেকআপ বা সানস্ক্রিন রিমুভ করছেন।
● পলিউটেড এরিয়ায় থাকলেঃ
স্কিনে বেশি ধুলো-ময়লা বা ঘাম জমা হলে।
● অ্যাকটিভ ট্রিটমেন্টের আগেঃ
রাতে রেটিনল বা শক্তিশালী সিরাম ব্যবহারের আগে স্কিনকে প্রস্তুত করতে।
● স্কিপ করা যাবে (বা এড়িয়ে চলা ভালো):
● সকালেঃ
সকালে আপনার স্কিন সাধারণত শুধু একটা জেন্টল ক্লিনজারে পরিষ্কার হয়ে যায়।
● মেকআপ/সানস্ক্রিন না থাকলেঃ
যদি আপনি সারাদিন বাড়ির ভেতরে থাকেন, কোনো সানস্ক্রিন, মেকআপ ব্যবহার না করে থাকেন।
● স্কিন ইরিটেটেড হলেঃ
যদি আপনার স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই, লালচে, ইরিটেটেড বা সেনসিটিভ থাকে, তখন শুধু একটা জেন্টল ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত।